সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রনায়ক অং সান সু চি’কে গ্রেপ্তারের পরই টানা দুই সপ্তাহের রিমান্ডে নিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। সামরিক জান্তার ক্ষমতা দখলের পর দুই দিন আজ একথা জানিয়েছেন সু চি’র রাজনৈতিক দল এনএলডি’র এক মুখপাত্র।
এক যুগের বেশি সময় গৃহবন্দী থাকার পর ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন ৭৫ বছরের অং সান সু চি।
২০১৫ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর সু চি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে সরকার গঠন করেন। যৌথ সরকারে তিনি স্টেট কাউন্সিলর হিসেবে ছিলেন। অভ্যুত্থানের সময় তার বিরুদ্ধে দেশটির আমদানি ও রপ্তানি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
বার্তা সংস্থা সিএনএন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) মুখপাত্র কি-তোয়ে’র বরাত দিয়ে রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে। কি-তোয়ে আজ বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে করা এক পোস্টে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সু চি’কে রিমান্ডে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন।
“বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আমদানি-রপ্তানি আইন ভঙ্গের দায়ে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী অং সান সু চি’কে গ্রেপ্তার করে আগামী ১৪ দিন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে রাখার আদেশ জারি হয়,” মুখপাত্রটি তার নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে করা পোস্টে লিখেছেন।
পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট’কেও দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের অধীনে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
সামরিক ক্যু’র দিন অর্থাৎ গত সোমবার ভোরের দিকেই সু চি এবং প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। এরপর, সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দেন। ২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের এনএলডি’র বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ আনে সেনাবাহিনী। ক্ষমতা দখলের পর এক বছরের জরুরি অবস্থাও জারি করা হয়।